যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিসের পরে এ বার উইসকনসিন প্রদেশের কেনোশা শহর। ফের পুলিশি বর্বরতার শিকার হলেন কৃষ্ণাঙ্গ যুবক। মিনিয়াপোলিসের প্রকাশ্য রাস্তায় জর্জ ফ্লয়েডের ঘাড়ে পা দিয়ে চেপে ধরে তাঁকে মেরেই ফেলেছিল এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার।
ঘটনাস্থল আমেরিকার কেনোসা।
গত রবিবারে ঘটা ও ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যাতে দেখা গেছে পরনে হাতকাটা সাদা গেঞ্জি ও কালো হাপ প্যান্ট পরা এক যুবক নিজের গাড়ির দিকে হেঁটে যাচ্ছেন। পিছন থেকে ছুটে আসছেন দুই পুলিশ অফিসার। দু’জনের হাতেই বন্দুক। একজন অফিসার যুবকের গেঞ্জি টেনে ধরে কিছু বলছেন। তাতে যুবক বিশেষ আমল না দিয়ে নিজের গাড়িতে উঠতে যাচ্ছে। এরপরেই কান ফাটানো গুলির আওয়াজ। পর পর সাতটি।
পুলিশের গুলি চালানোর শব্দ পেয়েই ছুটে আসেন স্থানীয়রা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর, বোতল ছুড়তে থাকে জনতা। স্থানীয়রাই জেকবকে গাড়িতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যান। জেকবের বাবা জানিয়েছেন, ছেলের অস্ত্রোপচার হয়েছে। শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। নিরস্ত্র যুবককে কেন পিছন থেকে গুলি করল পুলিশ, সেই নিয়ে বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র।
সম্প্রতি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে ২৯ বছরের কৃষ্ণাঙ্গ জেকোব ব্ল্যাকের পিছনে উইসকনসিন পুলিসের গুলি করার ভিডিয়ো। তারপর থেকেই ফের স্লোগান উঠেছে “নো জাস্টিস নো পিস, সে হিজ ন্যাম জেকোব ব্ল্যাক।” শয়ে শয়ে জলের বোতল আছড়ে পড়েছে কেনোসা শেরিফের কার্যালয়ে।
পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে জারি হয়েছে কার্ফু। তাতেও থামানো যায়নি প্রতিবাদ। বিক্ষোভকারিরা আগুন ধরিয়ে দেয় পার্শ্ববর্তী বাড়িগুলিতে। তছনছ করে দেয় রাস্তার আলো। শেরিফ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন সুরক্ষার স্বার্থে আম জনতার রাস্তায় না নামা উচিত। উইসকনসিনের গভর্নর টনি এভারস জানিয়েছেন ১২৫ জন জাতীয় রক্ষীকে পাঠানো হচ্ছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য।
সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের অপশনে ক্লিক করুন