কামরুল ইসলাম মাহি :: মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি ফজিলতপূর্ণ রাত পবিত্র শবে বরাতের। এ রাত কে বলা হয়ে থাকে ‘ভাগ্য’ রজনীর রাত। ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে তাঁর বান্দা যা চাহিবে ; তার দিয়ে থাকেন। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে যুগ যুগ ধরে পালন করে আসছেন মুসলিম সম্প্রদায়। প্রতিটি বছরের মতোই ষাট আউলিয়ার পূর্ণ্যভ’মি খ্যাত সিলেটসহ সারাদেশে মসজিদগুলোতে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। পবিত্র মাগরিবের নামাজের পর পরই মসজিদে ইবাদতে ব্যস্ত সিলেট নগরীর প্রতিটি পাড়া-মহল্লার প্রায় সকল মুসলিম সম্প্রদায়ের নারী-পুরুশ, শিশু-কিশোর সহ সকল বয়সী লোকজন।
ফরজ নামাজের পর নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতসহ নফল ইবাদতের মধ্য দিয়ে রাতটি উদযাপন করছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
ইসলামি বিধান মতে বছরের যে কয়েকটি রাত ফজিলতপূর্ণ এর মধ্যে শবে বরাত একটি। এই রাতকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় আবেগ ও ভাবগাম্ভীর্য বিরাজ করে। অনেকে ইবাদত-বন্দেগিতে সারা রাত কাটিয়ে থাকেন এবং পরদিন অনেকেই রোজাও রাখেন।
এরাতকে কেন্দ্র করে প্রশাসন নিরাপত্তা দিয়ে সর্বস্থরের লোকজনকে শান্তিপূর্ণভাবে ইবাদত করার সুযোগ করিয়ে দিয়ে থাকেন। তারই ন্যায় এবারো সারাদেশে কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ডেকে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে গনবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
বুধবার রাত ১০টার দিকে হযরত শাহ জালাল (র:) এর মাজারে গিয়ে দেখা যায়। সেখানে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। পুরুষের সংখ্যা বেশি হলেও নারীদের উপিস্থতি ছিলো লক্ষনীয়। নারীদের জন্য সংরক্ষিত ইবাদত খানায় নামাজ, কোরাআন শরীফ তেলাওয়াত, অজিফার খতম আদায় করতে দেখা গেছে। আর পুরুষেরা মসজিদে ফরজ নামাজ আদায় শেষে নফল নামাজ আদায় করছেন। আবার কেউ কোরআন শরিফ তেলাওয়াত করছেন। এক কথায় বলা যেতে পারে প্রত্যেকেই ইবাদত বন্দেগিতে ব্যস্ত রয়েছেন। সেখানে গিয়ে লক্ষ করা যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য কাজ করছেন। তাদের প্রত্যেক সদস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে তৎপর থাকতে দেখা গেছে।
এরই মধ্যে কথা হয় শাহজালাল দরগার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাবুল মিয়ার সাথে।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ পোষাকের পাশাপাশি সাদা পোষাকে কাজ করছে। মুসল্লিদের সর্বাত্মক নিরাপত্তা দিতে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে সিলেটে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে বলে সিএমপির উপ-কমিশনার (গনমাধ্যম) আবদুল ওয়াহাব জানিয়েছেন।
তিনি জানান, প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে। বিশেষ করে হযরত শাহজালাল (র.) মাজার, হযরত শাহপরাণ (র.) মাজার, মানিকপীরটিলা কবরস্থান ঘিরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
শান্তিপূর্ণভাবে রাতটি পালন করতে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, গোয়েন্দা সংস্থার কমকর্তারা মাঠে রয়েছে বলেও জানান তিনি।