৫ ই আগস্ট পরবর্তী নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বুননে যখন ব্যস্ত গোটা জাতি, তখন স্বার্থসিদ্ধি হাসিলের লক্ষ্যে হীন প্রচেষ্টায় লিপ্ত একটি মহল।
একের পর এক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলাই তাদের মূল লক্ষ্য। এহেন পরিস্থিতিতে সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখা একান্ত কাম।
তারুণ্যের নতুন বাংলাদেশ বুননে কাউকে বাদ দিয়ে নয় বরং সকলকে নিয়ে বৈচিত্র্যে বহুত্তে একত্বতায় একত্রে এগিয়ে নিতে হবে বাংলাদেশ।সকল রাজনৈতিক দল তারা যেমনি ভাবে তাদের কর্মকান্ডকে এগিয়ে নিবে ঠিক তেমনি ভাবেই সকল ধর্ম ও মতাদর্শের মানুষকে সমান ভূমিকা রেখে দেশকে একই সাথে এগিয়ে নিতে হবে। আবহমান কাল থেকে বাংলাদেশে ইসলামের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত হলেও ইসলামের অনন্য সৌন্দর্য সৌহার্দ সম্প্রীতি বজায় রেখে শান্তিপ্রিয় সহবস্থানেই এগিয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি বিশেষ একটি গোষ্ঠী তারা তাদের গেরুয়া পতাকা বাংলাদেশের লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত মহান জাতীয় পতাকার উপরে টাঙিয়ে দেয়। বিষয়টিতে আমরা ব্যাপকভাবে উদ্বিগ্ন। যেটি সম্প্রীতি নষ্টের পাশাপাশি রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। ইতিমধ্যে গেরুয়া পতাকা বাহি দল ইসকনের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে তার গ্রেফতার কে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে আদালত পাড়ায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এবং একজন স্বদেশ প্রেমী আইনজীবী এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হয়। বিষয়টি আমাদেরকে ব্যাপকভাবে পিড়িত করেছে।
এহনবস্থায় ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তি বিনষ্ট করে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার পায় তারা চলছে কোন কোন মহলে। যা শক্ত হাতে প্রতিহত করে দেশের শান্তি বজায় রাখা অতীব জরুরী। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি শান্তি বজায় রাখতে ব্যর্থ হয় তাহলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না।
কোন কোন মহলে চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীকে ধর্মীয় গুরু হিসেবে সামনে রেখে বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করছে। একজন ধর্মীয় গুরুর কাছে সম্প্রীতি ও শান্তি প্রিয় সহবস্থান একান্ত কাম্য। হীন কোন উদ্দেশ্যে যেকোনো ধর্মের ব্যবহার কোনো ধর্মেই কাম্য নয়। তাই ধর্মীয় কোন সংঘাত নয় সম্প্রীতি বজায় রাখা আমাদের জন্য অতীব জরুরী। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সাধারণ হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ সহ সকল ধর্ম ও যৌক্তিক মতাদর্শের মানুষজন ভীত না হয়ে সকলেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সহবস্থান সুনিশ্চিতের বিকল্প নেই। তাই সকলে মিলে আসুন সংঘাত নয় সম্প্রীতি গড়ি।