পর্যটকদের জন্য আগামী ১ নভেম্বর থেকে রাঙ্গামাটি ও ৫ নভেম্বর থেকে খাগড়াছড়ি খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। এ ছাড়া পর্যায়ক্রমে বান্দরবানও খুলে দেওয়ার কথাও জানান তিনি।
সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা এসব কথা জানান।
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, আমরা জানি এই পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটক বন্ধ থাকায় এ খাতের ব্যবসায়ীরা দুর্বল হয়ে পড়েছেন এবং এ খাত কিছুটা বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। এজন্য আমাদের ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ১ নভেম্বর থেকে রাঙামাটি এবং ৫ নভেম্বর খাগড়াছড়ি খুলে দেওয়া হবে পর্যটকদের জন্য। এরপর পর্যায়ক্রমে বান্দরবানও খুলে দেওয়া হবে। যেটা দ্রুতই বাস্তবায়ন দেখতে পাবেন। এটা হচ্ছে পর্যটন মৌসুম, এজন্য আমরা খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।
তিনি বলেন, আমার অ্যাসেসমেন্ট আছে যে, বর্তমানে পার্বত্য জেলাগুলোর পরিবেশ মোটামুটি শান্ত হয়েছে। আমি মনে করি না আর আগের মতো অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হবে। যেটা গত ১৮, ১৯ আগস্ট যে একটা চুরির ঘটনা থেকে এবং এরপর গত ১ অক্টোবর একটি ধর্ষণের ঘটনার পর পরিস্থিতি আরও অশান্ত হয়। হঠাৎ করে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু আমরা চাচ্ছি সবাই মিলে এই সমস্যাগুলো থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসতে পারব। পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে একটি সুসম্পর্ক বজায় থাকুক। এটা খুবই জরুরি। আমাদের অন্তর্বর্তী সরকার এটা খুব ভালো করে বোঝে এবং চেষ্টা করছে এ ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে। একই সঙ্গে সবাইকে অনুরোধ জানাব আইন কেউ নিজের হাতে তুলে না নেয়।
তিনি আরও বলেন, পার্বত্যবাসী অনেক সময় মনে করেন যে, তারা ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না। চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, সেগুলোর কোনো বিচারের সুরাহা এখন পর্যন্ত হয়নি। এজন্য তাদের ভেতরে এমন মনোভাব তৈরি হয়েছে। আমরা পাহাড়িদের আশ্বস্ত করতে চাই, যারা প্রকৃত অপরাধী তারা শাস্তি পাবেই এবং যারা নিরপরাধ তারা যেন কোনো অবস্থাতেই হয়রানির স্বীকার না হয় সেই চেষ্টা চালিয়ে যাব আমরা।